ছবিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিখেল মার্টিনকে হোয়াইট হাউসে দেখা যাচ্ছে। বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫।
সেন্ট প্যাট্রিকস ডে উদযাপনের জন্য হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের জন্য একটি সোজাসাপটা আনুষ্ঠানিকতা। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাধারণত শ্যামরক-এর একটি বাটি প্রতীকী উপহার হিসেবে প্রেসিডেন্টকে দেন।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ট্রাম্প একের পর এক শুল্ক আরোপ করে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনছেন, এবং আরও অনেক শুল্কের প্রতিশ্রুতি বা হুমকি দিয়েছেন।
যদিও এসব পদক্ষেপের কোনোটিই সরাসরি আয়ারল্যান্ডকে লক্ষ্য করে নয়, ৫৪ লক্ষ জনসংখ্যার এই দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত রয়েছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো আয়ারল্যান্ডের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকে কর্মসংস্থান দিয়ে থাকে।
ট্রাম্প বারবার সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন, যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে ঘাটতি রয়েছে। তিনি ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ফিরে আসে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তার শুল্ক পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনবে।
আয়ারল্যান্ড নেটোর সদস্য নয় এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়নি। তবে দেশটি পূর্ব ইউরোপীয় সেই দেশটিকে শত শত মিলিয়ন ডলারের অন্যান্য রকমের সহায়তা প্রদান করেছে। মার্টিন বলেছেন, আয়ারল্যান্ডের আরও অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।