ফিলিস্তিনি সক্রিয়বাদী ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা মাহমুদ খলিলকে সপ্তাহান্তের গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবসন নীতিকে সমর্থন করেছে। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহমুদ খলিল গাজা যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সোমবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনি করে বলেন, “আমাদের দেশ থেকে এই সন্ত্রাসী সহানুভূতিশীলদের খুঁজে বের করা, গ্রেপ্তার করা এবং নির্বাসিত করার- তাদেরকে কখনো আমেরিকায় ফিরে আসতে না দেয়ার” কথা বলেন।
মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প আরও জোর দেন।
তিনি বলেন, “আমাদের উচিত তাদের সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেয়া। তারা উপদ্রব সৃষ্টিকারী। তারা আন্দোলনকারী। তারা আমাদের দেশকে ভালোবাসে না। আমাদের উচিত তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া।”
মঙ্গলবার আটক থাকা খলিলের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি বা কর্মকাণ্ডের সাথে এমনকি প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করা কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়। বিল অফ রাইটস বাকস্বাধীনতা এবং সমাবেশের অধিকারকে সুরক্ষা দেয়।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লিভিট বলেন, “ এই ব্যক্তিটি দলবল নিয়ে প্রতিবাদ করে যা কেবল মাত্র কলেজ ক্যাম্পাসে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং ইহুদি-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে ও তাদের নিজেদের কলেজ ক্যাম্পাসে অরক্ষিত বোধ করে তাই-ই নয় কিন্তু তারা হামাসের লোগোসহ হামাসের পক্ষে অপপ্রচার সম্বলিত ফ্লায়ারো বিতরণ করে”। এই রকম আচরণ ও কর্মকান্ডে এই ব্যক্তি সম্পৃক্ত ছিল”।
অভিবাসন গ্রেপ্তার ট্র্যাক করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন উপাত্ত অনুসারে, মাহমুদ খলিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাকে লুইজিয়ানার গ্রামীণ একটি আইসিই স্থাপনায় রাখা হয়েছে। খলিল নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
ক্যাপিটল হিলে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি জেমি রাসকিন বলেন, এই গ্রেপ্তার খলিলের ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট রাইটের লঙ্ঘন। রাসকিন বলেন, তিনি পরিস্থিতি ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন।
তবে মঙ্গলবার লেভিট বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কোন ব্যক্তির স্থায়ী আবাসিক কার্ড বা গ্রীন কার্ড বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে। সমালোচকরা এই জাতীয় পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জেসি ফারম্যান খলিলকে আপাতত ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং বুধবার তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।