অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তেকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে হস্তান্তর

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তেকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে হস্তান্তর


২০২৫ সালের ১১ মার্চ ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো বিমানবন্দরে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তারের অপেক্ষায় পুলিশ কর্মকর্তারা।
২০২৫ সালের ১১ মার্চ ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো বিমানবন্দরে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তারের অপেক্ষায় পুলিশ কর্মকর্তারা।

ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে একটি বিমানে ম্যানিলা ত্যাগ করেছেন এবং তাকে দি হেগ শহরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে রদ্রিগো দুতার্তেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে মঙ্গলবার ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ফিলিপাইনের সরকার একথা জানায়।

প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হংকং থেকে দেশে ফেরার পর দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আইসিসির নির্দেশে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে অবৈধ মাদক বিরোধী অভিযানে বহু লোক নিহত হয়। আইসিসি তার তদন্ত করছে।

আন্তর্জাতিক পুলিশের ম্যানিলা অফিস আন্তর্জাতিক আদালত থেকে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি আনুষ্ঠানিক অনুলিপি পেয়েছে এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নোটিস পাঠানো হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই নেতার স্বাস্থ্য ভালো আছেন এবং সরকারি চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করেছেন।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কালে দুতার্তের সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে আইসিসি। মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, জবাবদিহিতা এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।

দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিল যে, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তাদের যুক্তি ছিল, আইসিসি হলো সর্বশেষ পদক্ষেপ এবং আইসিসির এই অভিযোগের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই।

আইসিসির আপিল বিচারকরা ২০২৩ সালে রায় দেন, তদন্ত আবার শুরু হতে পারে; তারা দুতার্তে প্রশাসনের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেন। কোনো দেশ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ সবচেয়ে জঘন্য আন্তর্জাতিক অপরাধের সন্দেহভাজনদের বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অসমর্থ হলে নেদারল্যান্ডসের দি হেগে অবস্থিত আইসিসি পদক্ষেপ নিতে পারে।

XS
SM
MD
LG