বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভকে একটি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি মনে করেন, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে শুরু হওয়া যুদ্ধ শেষ করার জন্য মস্কোও একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্প নেটো সদস্যদের একটি বার্তা পাঠিয়েছেন- “যদি তারা অর্থ প্রদান না করে তাহলে আমি তাদের সুরক্ষা দেব না।”
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন সে বিষয়ে তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি যা ঘটতে চলেছে তা হলো, ইউক্রেন একটি চুক্তি করতে চায়। কারণ আমি মনে করি না তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি আরও মনে করি, রাশিয়া একটি চুক্তি করতে চায়। কারণ একটি নির্দিষ্ট এবং ভিন্ন উপায়ে যা একমাত্র আমি জানি, এ ছাড়া তাদের হাতেও আর কোনো বিকল্প নেই।”
এর আগে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করতে সৌদি আরব সফর করবেন।
উইটকফ বলেন, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সংশোধিত হয়েছেন বলে মনে করেন ট্রাম্প।
উইটকফ বলেন, “তিনি মনে করেন, জেলেন্সকির চিঠি [বাকবিতণ্ডাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করা] খুব ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ ছিল। চিঠিতে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। উইটকফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনের জন্য অনেক কিছু করেছে তা ইউক্রেন স্বীকার করে এবং সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
এদিকে জরুরি আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের সাথে ব্রাসেলসে ছিলেন জেলেন্সকি।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক বলেন, “আমরা রাশিয়ার চেয়ে দ্রুত, স্মার্টভাবে এবং আরও দক্ষতার সাথে নিজেদের সশস্ত্র করবো।”
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো আলোচনার আগে বলেছিলেন, ইইউ সদস্যরা “এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে।” তিনি নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পরিবর্তনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ম্যাক্রো বলেন, “ইউরোপের ভবিষ্যৎ ওয়াশিংটন বা মস্কোর ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা উচিত নয়।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।