অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্প হামাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছেন


গাজা ভূখণ্ডে হামাসের হাতে এখনও আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে চলা বিক্ষোভে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছবি তুলে ধরেছে বিক্ষোভকারীরা। তেল আবিব, ইসরায়েল। ফটোঃ ৬ মার্চ, ২০২৫।
গাজা ভূখণ্ডে হামাসের হাতে এখনও আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে চলা বিক্ষোভে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছবি তুলে ধরেছে বিক্ষোভকারীরা। তেল আবিব, ইসরায়েল। ফটোঃ ৬ মার্চ, ২০২৫।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে তার প্রশাসন হামাসের (যুক্তরাষ্ট্র-চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী) সঙ্গে সমঝোতা করছে। পাশাপাশি, আগের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দ্বিগুণ করে তিনি বলেছেন, জিম্মিদের যদি অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে গাজায় “নারকীয় কাণ্ড” হবে।

এক সংবাদদাতা এই মন্তব্যের অর্থ ব্যাখ্যা করতে বললে ট্রাম্প ওভাল অফিস থেকে বলেন, “আপনারা জানতে পারবেন।”

মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের সঙ্গে বুধবারের সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “যে ব্যক্তিদের আমরা উদ্ধার করে আনতে পেরেছি তাদের কয়েকজনের সঙ্গে গতকাল অনেকটা সময় কাটানোর সম্মান লাভ করেছি এবং আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, কী খারাপভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে।”

মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সংবাদদাতাদের বলেন, “ইসরায়েলিদের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে” প্রশাসন।

উইটকফ বলেন, “হামাসের কাছে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে—যেটা ঠিক সেটা করা এবং তারপর প্রস্থান করা।” যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল দাবি করছে, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় হামাসের কোনও সামরিক বা রাজনৈতিক ভূমিকা নেই। সেই প্রসঙ্গে উইটকফ এই মন্তব্য করেন।

যে সকল বিকল্প বা উপায়ের কথা ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ রয়েছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউস কোনও জবাব দেয়নি। আগে কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা গাজায় আমেরিকান সৈন্য পাঠাবেন না।

জিম্মি বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলারের নেতৃত্বে বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক শুরুর বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের নীতির (সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতা না করা) পরিপন্থী।

ট্রাম্প বলেছেন, “ওই আলোচনায় আমরা ইসরায়েলকে সাহায্য করছি কারণ আমরা ইসরায়েলি জিম্মিদের নিয়ে কথা বলছি। আমরা হামাসের শর্তে কিছু করছি না। আমরা নগদ অর্থ দিচ্ছি না।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, “হামাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের বিষয়ে ইসরায়েল তার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG