যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বুধবার টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্তের একটি গুরূত্বপূর্ণ ক্রসিং পয়েন্ট পরিদর্শনে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের একটি ত্রয়ী দলের নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন চাপের কথা বলেন। তিনি আমেরিকানদের আশ্বস্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী মেক্সিকো আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে না।
টেক্সাসের ছোট্ট সীমান্ত শহর ঈগল পাসে তার সফরটি কংগ্রেসের সামনে মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্পের প্রতিবাদী ভাষণের অব্যবহিত পরেই শুরু হয়। ভাষণে ট্রাম্প তার গৃহীত গ্রেপ্তার ও নির্বাসনের কর্মসূচিকে “তাদের বের করে আনা এবং দ্রুত বের করে আনা” বলে অভিহিত করেন।
ট্রাম্প যে মাদক চক্রকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার পদক্ষেপের কথা বলেন ভ্যান্স তাঁর বক্তব্যে সেটি অনুসরণ করেন।
ভ্যান্স বলেন, “আমি আজ এখানে মেক্সিকো আক্রমণের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দিতে যাচ্ছি না। প্রেসিডেন্টের কাছে মেগাফোন আছে এবং প্রয়োজন মনে করলে তিনি অবশ্যই এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কার্টেল গ্রুপগুলোকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমরা যা করতে পারি তা হলো গুরুতর সীমান্ত সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পুরো শক্তি মোতায়েন করা।”
ভ্যান্সের সাথে থাকা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড তার কথার প্রতিধ্বনি করে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য আমেরিকান জনগণকে নিরাপদ রাখা।”
টেক্সাসে ভ্যান্স এবং গ্যাবার্ডের সাথে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ জোর দিয়ে বলেন, তিনি মনে করেন যে, “সীমান্ত সুরক্ষা হলো জাতীয় সুরক্ষা” এবং তিনি সেনারা কী ভূমিকা পালন করতে পারে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কারণ আইনত সেনা কর্তৃক বেসামরিক আইন প্রয়োগকারী পদক্ষেপ সম্পাদন নিষিদ্ধ।
অভিবাসন সমর্থকরা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, সীমান্ত পারাপারের বর্তমান স্থবিরতা, যেটির ওপর ভ্যান্সও নজর রাখার কথা বলেন; এটি বিভ্রান্তিকর হতে পারে। তারা ট্রাম্পের প্রয়োগ-ভিত্তিক কৌশলের সমালোচনা করেন।
আমেরিকা’স ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক ভেনেসা কারডেনাস বলেন, “ট্রাম্পের অধীনে এবং (সাবেক প্রেসিডেন্ট জো) বাইডেনের অধীনে সীমান্তে অভিবাসনের সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, এটি কেবল বর্তমান প্রশাসনের প্রযুক্ত এজেন্ডা নয়; বিশ্বব্যাপী অভিবাসন-প্রত্যাশা কেন জটিল এবং একবিংশ শতাব্দীর অভিবাসনের জন্য আমেরিকাকে প্রস্তুত করতে ও আমাদের স্বার্থ ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য কংগ্রেসের কাছ থেকে কেন আমাদের সম্পূর্ণ অভিবাসন সংস্কার প্রয়োজন।”