জাতিসংঘের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন বাংলাদেশে সত্য উন্মোচন, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ, নিরাময় এবং সংস্কারের কাজে আসবে, সোমবার (৩ মার্চ) এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুক।
জেনেভায় গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ৫৮তম সভায় ফলকার টুক বলেন, "সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে শুরু করে এমন যেসব ঘটনা আছে যেখানে প্রতিহিংসামূলক সহিংসতার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হয়েছে সেখানে সঠিক প্রক্রিয়ায় বিচার হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ"।
টুক বলেন বাংলাদেশ গত বছর সহিংসতার এক বড় ধাক্কার ভেতর দিয়ে গেছে যেখানে তৎকালীন সরকার মানবাধিকারকে মৌলিক বিষয় হিসেবে দেখা ছাত্রদের একটি আন্দোলনকে 'নিষ্ঠুরভাবে দমন' করেছে।
"এখন দেশটি একটি নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে", একথা বলে তিনি যোগ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাম্প্রতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে মানবাধিকার লংঘনের করুণ সত্য উঠে এসেছে যা এই যাত্রায় "গুরুত্বপূর্ণ অবদান" রাখবে।
এর আগে ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গুইন লুইস রবিবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার টুক ৫ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে সদস্য দেশগুলির কাছে তাদের কমিশনের পাওয়া তথ্য উপস্থাপন করবে।
অধ্যাপক ইউনূস ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল "নৃশংস" ঘটনা নথিভুক্ত করার উপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তিনি জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গুইন লুইস ও রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর অফিসের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানের সামনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এসব কথা বলেন।