১৩৩ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
সিআইডির জসিম উদ্দিন খান (এসএস) জসিম উদ্দিন খান জানান, সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানী থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছরের ১ জুলাই সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকার সাদিক এগ্রোর খামারে সাতটি নিষিদ্ধ ব্রাহমা বাছুর ও পাঁচটি গরু পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে দুদকের ৯ সদস্যের একটি দল খামারে অভিযান চালিয়ে সাতটি নিষিদ্ধ ব্রাহমা বাছুর ও পাঁচটি গাভী, প্রায় ২৫০টি অন্যান্য গরু, ১২টি উট ও দুটি ঘোড়া উদ্ধার করে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, “২০২১ সালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সাদিক এগ্রোর আমদানি করা নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এরপর সেসব গরু সাভারের রাষ্ট্রায়ত্ত কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও ডেইরি ফার্মে পাঠানো হয়। গত কোরবানির ঈদে এসব গরু জবাই করে মাংস নিলামে বিক্রি করা হয়।”
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০২১ সালে সাদিক অ্যাগ্রো তারকিশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহমা গরু আমদানি করে। এর মধ্যে একটি গরু বিমানেই মারা গেছে। সে সময় সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন আমদানির কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হন।
পরে সাদিক এগ্রো ব্রাহ্মণ গাভী আমদানির বিষয়ে তিনটি ভুয়া দলিল দাখিল করে। এগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানির বিষয়ে অনাপত্তিপত্র (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারেন্টাইন ইউনিটের চিঠি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গরু আমদানির অনুমতিপত্র।
গেল বছর ঈদুল আযহায় ইমরান হোসেনের মালিকাধীন সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার খবর ছড়ানোর পর এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান।
সাদিক অ্যাগ্রো ও এর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন তখন থেকেই আলোচিত হয়ে আসছেন।