ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি অনুযায়ী জিম্মি শিরি বিবাসের মৃতদেহ ফেরত দিতে ব্যর্থ হামাস এর জন্য "মূল্য দেবে"।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, “জীবিত ও মৃত সকল জিম্মিদের সঙ্গে শিরিকে দেশে ফেরাতে আমরা দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেব এবং চুক্তির এই নিষ্ঠুর ও অশুভ লঙ্ঘনের জন্য হামাস যাতে পুরোপুরি মূল্য চোকায়, তা নিশ্চিত করব।”
তিনি আরও বলেন, “তারা শুধু ইয়ারদেন বিবাস (বাবা), তরুণী মা শিরি ও তাদের দুই ছোট শিশুকে অকল্পনীয় নিষ্ঠুরভাবে অপহরণ করেনি, বরং ছোট দেবদূতের মতো দুই সন্তানের কাছে শিরিকে ফিরিয়ে দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে; পরিবর্তে কফিনের মধ্যে গাজার এক নারীর মৃতদেহ রেখে দিয়েছে।”
রয়টার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হামাস শুক্রবার বলেছে, "শিরি বিবাস"কে যেখানে আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে আনা অন্য জনের দেহাবশেষের সঙ্গে শিরির দেহাবশেষ সম্ভবত মিশে গেছে।
ইসরায়েল ও জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীন সর্বশেষ মুক্তি প্রক্রিয়ায় তিনজন ইসরায়েলি জিম্মি ও এক পরিচয়বিহীন নারীর দেহ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শহরে শত শত মানুষ জড়ো হয়; এখানে হামাস চারটি কালো কফিন রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয়। রেড ক্রস সেগুলো এক গাড়িবহরে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সমর্পণ করে।
ইসরায়েলিদের একটি মিছিল সেই সব এলাকার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় যেখানে রাস্তার পাশে অনেকে সে দেশের পতাকা নিয়ে সমবেত হয়েছিলেন। মৃতদেহগুলির পরিচয় নিশ্চিত করতে কয়েক ঘন্টা পরে তেল আবিবের ন্যাশনাল সেন্টার অফ ফরেন্সিক মেডিসিনে নেয়া হয়।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন অচিহ্নিত দেহ ফেরানোর জন্য হামাসের নিন্দা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।