অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
লাতিন আমেরিকার ৮ কার্টেলকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করলো ট্রাম্প প্রশাসন

লাতিন আমেরিকার ৮ কার্টেলকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করলো ট্রাম্প প্রশাসন


এমএস-১৩ কার্টেলের সদস্যরা এল সালভাদরের চালাতেনাঙ্গোতে চালাতেনাঙ্গো পেনিটেনশিয়ারি থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য একটি বাস ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে। ফাইল ফটোঃ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯।
এমএস-১৩ কার্টেলের সদস্যরা এল সালভাদরের চালাতেনাঙ্গোতে চালাতেনাঙ্গো পেনিটেনশিয়ারি থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য একটি বাস ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে। ফাইল ফটোঃ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯।

ট্রাম্প প্রশাসন লাতিন আমেরিকার ৮টি অপরাধী সংগঠনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় কার্টেল এবং তাদের সহায়তাকারীদের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির নির্বাহী আদেশে ভেনেজুয়েলার ট্রেন ডি আরাগুয়া, এল সালভাদরে এমএস-১৩ এবং অন্যান্যদের নাম রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি বৃহস্পতিবার ফেডারেল রেজিস্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের কথা রয়েছে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষিত করাকে তার শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রেখেছেন। তিনি গণ বহিষ্কার চালানো, সীমান্তে সক্রিয় সেনা পাঠানো এবং আরও অভিবাসী নিতে কয়েকটি দেশের সাথে চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

“বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন” তকমাটি গতানুগতিক নয়, কারণ এটি একটি সন্ত্রাসী তকমা যা সাধারণত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সহিংসতা ব্যবহার করে এমন সংগঠন যেমন আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের মতো গোষ্ঠীর জন্য ব্যবহৃত হয়। লাতিন আমেরিকার কার্টেলের মতো অর্থ-কেন্দ্রিক অপরাধ চক্রের জন্য এটি ব্যবহৃত হয় না।

নিউ ইয়র্কে একজন বিক্ষোভকারী এমএস-১৩ সংগঠনের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছেন। ফাইল ফটোঃ ২৩ মে, ২০১৮।
নিউ ইয়র্কে একজন বিক্ষোভকারী এমএস-১৩ সংগঠনের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছেন। ফাইল ফটোঃ ২৩ মে, ২০১৮।

ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি হলো, মাদক পাচার, অভিবাসী চোরাচালান এবং তাদের অঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য সহিংস চেষ্টাসহ গোষ্ঠীগুলোর আন্তর্জাতিক সংযোগ এবং ক্রিয়াকলাপ এই চিহ্নিতকরণের দাবি রাখে।.

এই পদক্ষেপের সমালোচকরা এটিকে অহেতুক বিস্তৃত এবং কঠোর পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তারা মনে করেন, এই পদক্ষেপ লাতিন আমেরিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এবং বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দিতে পারে। ব্যবসা, ব্যাংক এবং ক্রেতারা যদি জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে এমন কোনো লেনদেন করে যা কার্টেলগুলোর সাথে সামান্যতম হলেও সংশ্লিষ্টতা রাখে তাহলে উক্ত ব্যবসা, ব্যাংক এবং ক্রেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বিচারের ভীতিতে থাকতে পারে।

এই ধরনের কার্টেলগুলো মেক্সিকোর অর্থনীতির সর্বত্র রয়েছে, তারা কেবল মাদক পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালানি নয়, বহু বিলিয়ন ডলারের আভোকাডো ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করে।

ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, অতীতে যুক্তরাষ্ট্র যেসব গোষ্ঠীকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তা বিভিন্ন দেশে সামগ্রিক খাদ্য আমদানিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, শিপিং কোম্পানিগুলো আশঙ্কা করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা তাদের বিরুদ্ধে চিহ্নিত গোষ্ঠীগুলোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করার অভিযোগ করতে পারেন।

XS
SM
MD
LG