অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বেআইনি অভিবাসীদের গ্রহণ করবে কস্টা রিকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বেআইনি অভিবাসীদের গ্রহণ করবে কস্টা রিকা


ভেনেজুয়েলা থেকে আসা অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে না পেড়ে কস্টা রিকায় আটকে পড়েছে। ফটোঃ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
ভেনেজুয়েলা থেকে আসা অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে না পেড়ে কস্টা রিকায় আটকে পড়েছে। ফটোঃ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।

কস্টা রিকা সোমবার ঘোষণা করেছে যে, তারা পানামা এবং গুয়াতেমালার পথ অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো অন্যান্য দেশের বেআইনি অভিবাসীদের গ্রহণ করবে।

“কস্টা রিকা সরকার অবৈধ ২০০ অভিবাসীকে তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে," কস্টা রিকার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়। বিবৃতিতে যোগ করা হয় যে, "এই লোকগুলো এসেছে ... মধ্য এশিয়া ও ভারত থেকে।"

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণের পর কস্টা রিকা হচ্ছে সেন্ট্রাল আমেরিকার তৃতীয় দেশ যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বুধবার একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো অভিবাসীরা কস্টা রিকায় পৌঁছাবেন। এর পর তাদেরকে পানামার সীমান্তের কাছে একটি অস্থায়ী অভিবাসী পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

ঐ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রক্রিয়া “সম্পূর্ণভাবে অর্থায়ন করবে," যার তদারকি করবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বা আইওএম।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি যখন ল্যাটিন আমেরিকা সফর করেন তখন পানামা এবং গুয়াতেমালা একই ধরণের চুক্তি করতে সম্মত হয়।

পানামার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও অন্যান্য দেশের ১১৯ জন অভিবাসীদেরকে নিয়ে প্রথম প্রত্যাবাসন ফ্লাইটটি পানামায় পৌঁছিয়েছে। গুয়াতেমালায় এখনো কেউ পৌঁছায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসী রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ এসেছেন ল্যাটিন আমেরিকা থেকে।

এদের অনেকে উন্নত জীবনের আশায় বিপজ্জনক পথ, দুর্গম অঞ্চল, বন্য পশু ও অপরাধী দলের খপ্পর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিল।

তবে ট্রাম্প গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচণী প্রচারণার সময় কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং কিছু অভিবাসীকে “দানব” এবং “পশু” বলে অভিহিত করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মাসে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং "লক্ষ লক্ষ" বেআইনি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার করেন।

XS
SM
MD
LG