মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তিন বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘ন্যায্য’ ও ‘টেকসই’ সমাধান নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, তবে শান্তি অর্জনের জন্য মস্কো ও কিয়েভ উভয়কেই ছাড় দিতে হবে।
যুদ্ধ অবসান এবং ওয়াশিংটন-মস্কো বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতির প্রথম প্রচেষ্টায় তিনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা সৌদি আরবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং তার সহযোগীদের সাথে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। এরপর রুবিও তার মূল্যায়ন প্রকাশ করেন।
রুবিও বলেন, তিনি ‘নিশ্চিত’ যে যুদ্ধ শেষ করতে মস্কো ‘গুরুতর পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালানোর মধ্যে দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল।
লাভরভ একই ভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা শুধু একে অপরের কথা শুনছিলাম না, আমরা একে অপরের বক্তব্য শুনতে পেরেছি। আমার ধারণা, আমেরিকানরা আমাদের অবস্থান ভালভাবে বুঝতে শুরু করেছে।”
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ এই লড়াইয়ে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকসহ হাজার হাজার রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া "যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে সংঘাত অবসানের পথে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের দল নিয়োগে" সম্মত হয়েছে। ব্রুস এই বৈঠককে শান্তির দিকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
রুবিও বলেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে আলোচনায় যুক্ত করতে হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি দীর্ঘদিন ধরে তার দেশের ২০১৪ সালের সীমানা পুনরুদ্ধার এবং পশ্চিমের প্রধান সামরিক জোট নেটোতে কিয়েভের যোগদানের দাবি জানাচ্ছেন।। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, এসব দাবি অবাস্তব।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যেকার আলোচনা ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনকে দেশটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনায় জড়িত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এই আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেরাও ভূমিকা রাখতে চায় কারণ তারা মনে করছে, এটি তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।