পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সুরক্ষা সেবা বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেগুলো হলো, নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট দিতে হবে; বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
এছাড়া পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সাথে চাওয়া মৌলিক তথ্যের (নিজ নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান) পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে পরিপত্রে।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পাসপোর্ট পেতে নাগরিকদের এখন থেকে আর পুলিশের ভেরিফিকেশন লাগবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "সরকার নতুন নিয়ম চালু করেছে যে এখন থেকে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকদের একটি অধিকার। জন্মসনদ বা এনআইডির জন্য যদি পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার না পড়ে, তাহলে পাসপোর্টের বেলায় সেটা লাগবে কেন?"
এ সময়ে সরকারকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, "এটা টিমওয়ার্ক, পুরো টিমের সফলতাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কিছু আমাদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত।"
তবে, এর আগে ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন যে, পাসপোর্ট আবেদনে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে নেয়ার কথা ভাবলেও সহসাই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার।