জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের কিছু এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকারের এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “লেবাননের ভূখণ্ডের যেকোনো বিন্দুতে ইসরায়েলি উপস্থিতি অব্যাহত রাখা হলো দখলদারিত্ব, আন্তর্জাতিক বৈধতা অনুযায়ী এর আইনি প্রভাব রয়েছে।”
জানুয়ারির শেষের দিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েলকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছিল। হিজবুল্লাহও সীমান্ত থেকে সরে গেছে এবং খালি হওয়া বাফার জোনে লেবাননের সেনাদের সাথে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। চুক্তির সময়সীমা মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
লেবাননে জাতিসংঘের দূত জেনিন হেনিস-প্লাচার্ট এবং লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরোলদো লাজারো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে আবার বিলম্ব “আমরা আশা করিনি।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “লেবাননের সেনাবাহিনী পাঁচটি নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থানসহ একটি বাফার জোনে থাকবে এবং হিজবুল্লাহর যেকোনো লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ও আপসহীন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।”
নভেম্বরের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতির ফলে লেবাননে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা লড়াই বন্ধ হয়। যুদ্ধবিরতির কয়েক মাস আগে এ লড়াই তীব্র হয়ে ওঠে; ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের অভ্যন্তরে স্থল অভিযান পরিচালনা করে এবং হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বারবার হামলা চালায়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার মঙ্গলবার বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে ইসরায়েল প্রস্তুত। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে এসব আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কিছু দেশ হামাস ও হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।