ছবিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে স্বাগত জানাতে দেখা যাচ্ছে। সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কের নেতৃবৃন্দ, ন্যাটো প্রধান মার্ক রাট, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন তড়িঘড়ি করে ডাকা এই বৈঠকে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গত সপ্তাহের ফোনালাপে দুই নেতা রাশিয়ার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে তিন বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং শান্তি আলোচনায় ইউরোপের ভূমিকা থাকবে না- যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের এমন ইঙ্গিতের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।
বৈঠকের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটলে পুনরায় শুরু হওয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র-এর নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রয়োজন। তিনি যোগ করেন এর সাথে ইউরোপের ভবিষ্যত জড়িত।
ওদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে সোমবার ফোনে কথা হয়। ত্রিশ মিনিটের বন্ধুত্বপূর্ণ এই ফোনালাপে নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ, আগামীকাল ইউরোপীয় দেশগুলোর আসন্ন বৈঠক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌদি আরবে আলোচনার বিষয়ে কথা বলেছেন।
যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার কূটনীতিকদের সাথে প্রত্যাশিত আলোচনাসহ বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
রবিবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও ট্রাম্পের সাথে পুতিনের বৈঠক প্রসঙ্গে সিবিএসের “ফেস দ্য নেশন”-কে বলেন, “শান্তির প্রক্রিয়া এক বৈঠকের বিষয় নয়।”
রুবিও বলেন, “আমরা আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে দেখবো ভ্লাদিমির পুতিন টেকসই ও ন্যায্যভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় আগ্রহী কিনা।”
রুবিও বলেন, চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে যাইই ঘটুক না কেন,একবার ‘সত্যিকার আলোচনা’ শুরু হলে ইউক্রেনকে ‘সম্পৃক্ত হতে হবে’।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতে ইউরোপের কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়।