অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সৌদি আরব সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও

ছবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে সৌদি আরব সফরের সময় দেখা যাচ্ছে। সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার সৌদি আরবে রয়েছেন; সফরে প্রাধান্য পাওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি অন্যতম।

তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশের বিরোধিতার আবহেই রুবিও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন।

ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা প্রতিবেশী দেশগুলিতে সরে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই ভূখণ্ডের পুনরায় উন্নয়ন ঘটাবে।

ট্রাম্পের আশা, সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক, তবে এই ধরনের পরিকল্পনা সেই আশাকে নির্মূল করে দেবে বলেই ধারণা; সৌদির কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রশস্ত না হলে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ-পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র; রবিবার রুবিও বলেছেন, হামাসকে “নিশ্চিহ্ন করতেই হবে” এবং “সামরিক বা প্রশাসনিক শক্তি হিসেবে তারা (হামাস) থাকতে পারবে না।”

দুই সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব সমাপ্ত হতে চলেছে; জেরুজালেমে অবস্থানকালে রুবিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, “যতদিন (হামাস) সহিংসতা ব্যবহার করে এমন একটা বাহিনী হিসেবে থাকবে যারা সরকার চালাতে পারে, শাসন করতে পারে বা হুমকি দিতে পারে, ততদিন শান্তি অসম্ভব।”

ট্রাম্পের প্রতিধ্বনি করে ইসরায়েলি নেতা বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় (যা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়) অপহৃত বাকি কয়েক ডজন জিম্মিকে হামাস মুক্তি না দিলে “জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।”

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরায়েল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।


XS
SM
MD
LG