অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হামাস শনিবার মুক্তি দেবে এমন তিনজন জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে


গাজায় হামাসের হাতে আটক তিনজন ইসরায়েলি জিম্মি সাগুই ডেকেল চেন, সাশা ট্রুফানফ এবং আইয়ার হর্ন। ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই তিনজনকে মুক্তি দেয়া হবে।
গাজায় হামাসের হাতে আটক তিনজন ইসরায়েলি জিম্মি সাগুই ডেকেল চেন, সাশা ট্রুফানফ এবং আইয়ার হর্ন। ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই তিনজনকে মুক্তি দেয়া হবে।

ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি প্রকাশের পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে শনিবার যে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস তাদের নাম প্রকাশ করেছে।

হামাসের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, জিম্মিদের একজন হচ্ছে ইসরায়েলি আমেরিকান সাগুই ডেকেল চেন (৩৬), তিনি দক্ষিণ ইসরায়েলের কিব্বুটজ নীর ওজের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার সময় হামাস জঙ্গিদের মুখোমুখি হওয়ার সময় চেনকে বন্দী করা হয় বলে জানা গেছে। ধরা পড়ার দুই মাস পর তার স্ত্রী আভিতাল তাদের তৃতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন এবং যুদ্ধে ফিরে আসার হুমকির অভিযোগ আনার পর জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাক তাতে আমরা আগ্রহী নই। আমরা এর বাস্তবায়ন ও দখলদার ইসরায়েল যেন তা পুরোপুরি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের ভাষা’রও সমালোচনা করে কানুয়া বলেন, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সহায়তা করে না।

পরে ইসরায়েলি সরকার পুনর্ব্যক্ত করে যে, হামাসকে অবশ্যই এই সপ্তাহান্তে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।

বুধবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি বলেন, হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতি হবে না এবং যুদ্ধ চলমান হবে। তিনি আরও বলেন, লড়াই আরও তীব্র হবে এবং ‘গাজার জন্য ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের অনুমোদন দেবে।’

ট্রাম্প এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে এবং সেখানকার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর করা হবে। তাদের ফিরে যাওয়ার কোনো অধিকার থাকবে না। মিসর, জর্ডান ও সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

ভয়েস অব আমেরিকার নাতাশা মোজগোভায়া এই রিপোর্টে অবদান রেখেছেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এজেন্স ফ্রান্স-প্রেস এবং রয়টার্স থেকে এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

XS
SM
MD
LG