প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস নিয়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে তিনি পুনরায় আলোচনা শুরু করতে চান এবং তার আশা, এইভাবে তিনটি দেশই প্রতিরক্ষা খাতে তাদের বিপুল ব্যয়কে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সহমত হবে।
ওভাল দফতরে সংবাদদাতাদের ট্রাম্প বলেন, দেশের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধ পুনর্নির্মাণে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই খাতে ব্যয় সংকোচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিদের কাছ থেকে অঙ্গীকার আদায়ে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা করেন।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমাদের একেবারে নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার কোনও যুক্তি নেই। আমাদের ইতোমধ্যেই প্রচুর রয়েছে। এই বিশ্বকে (এই অস্ত্র দিয়ে) ৫০ বার, ১০০ বারের বেশি ধ্বংস করা যেতে পারে। এবং আমরা এখনও নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে চলেছি, আর তারাও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।”
ট্রাম্প বলেন, “আমরা সবাই বিপুল অর্থ ব্যয় করছি যা অন্যান্য নানা খাতে ব্যয় করা যেতে পারত, যেগুলি আশা করি প্রকৃতই অনেক বেশি উৎপাদনশীল।”
ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার মজুত করলেও ট্রাম্প ভবিষ্যতবাণী করেন, “পাঁচ বা ছয় বছরের মধ্যে” পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতার নিরিখে চীন তাদের ধরে ফেলবে।
তিনি বলেন, এই অস্ত্র যদি কখনও ব্যবহার করা হয়, তাহলে “সেটাই সম্ভবত হবে মহাবিপর্যয়।”
ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে একবার “আমরা সবটা মিটিয়ে ফেলতে পারলেই” এই দুই দেশের সঙ্গে পারমাণবিক বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনায় বসবেন।
তিনি জানান, “প্রথম দিকেই আমি চীনের প্রেসিডেন্ট শি (জিনপিং) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই। আমি বলতে চাই, ‘চলো, আমাদের সামরিক বাজেটকে অর্ধেকে নামিয়ে আনি।‘ আমরা সেটা করতে পারি। এবং আমার ধারণা, আমরা সক্ষম হব।”
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে পরমাণু অস্ত্র হ্রাস বিষয়ক বৈঠকে চীনকে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন; সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ‘নিউ স্টার্ট’ নামে পরিচিত একটি চুক্তি সম্প্রসারণ নিয়ে বোঝাপড়া করছিল।