ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন। মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার মালিকানা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও স্থানান্তরের পর সেটিকে পুনর্নির্মাণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে বোমা এবং অস্ত্র অপসারণের দায়িত্ব নেবে।
তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালানোর বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেননি।
"যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দখল নেবে, এবং আমরা এর সাথে একটি কাজও করব," তিনি বলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান যে, তিনি ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা করছেন এবং সম্ভবত গাজাও সফর করবেন।
নেতানিয়াহু হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে সফর করা প্রথম বিদেশি নেতা।
তিনি এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন, যখন ইসরায়েলে তার প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে এবং গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্ত্রবিরতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চলছে।
নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে নিয়ে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ট্রাম্প হলেন ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
ইসরায়েল এবং হামাসের কাছে দ্বিতীয় পর্যায়ের শর্তে একমত হওয়ার জন্য চার সপ্তাহেরও কম সময় আছে, যার মধ্যে গাজায় বন্দী অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি, যুদ্ধ স্থায়ীভাবে থামানো এবং ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
চুক্তির আওতায় হামাস, এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ওদিকে ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ গাজার এই সংঘাত শুরু হয় হামাস জঙ্গিরা ইসরায়েলে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
১৫ মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে ৪৭,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরায়েল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।