রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের সুদজা শহরে এক আবাসিক স্কুলে প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে পরস্পর-বিরোধী দাবী উঠে এসেছে। শহরটি পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেন বাহিনীর দখলে আছে এবং স্কুল হামলার জন্য রাশিয়া আর ইউক্রেন একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর জেনেরাল স্টাফ শনিবার রাতে জানায় হামলায় ৪জন নিহত, আরও ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে এবং ইউক্রেনের সৈন্যরা বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৮৪জনকে উদ্ধার করে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেন্সকি বলেন, মস্কো এই আবাসিক স্কুলে বোমা হামলা করে, যেখানে বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
রবিবার ভোরের দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে যে, ইউক্রেনীয় বাহিনীই স্কুলের উপর ক্ষপনাস্ত্র হামলা চালায়। তারা বলে, ইউক্রেনের সুমি অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে, ইউক্রেনের পলটাভা শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে শনিবারের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪তে দাঁড়িয়েছে, স্থানীয় কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানায়, শনিবার রাত এবং রবিবার ভোরে মস্কো ৫৫টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবী অনুযায়ী, ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় এবং ১৩টি সম্ভবত ইলেক্ট্রনিক জামিং-এর কারণে “হারিয়ে” যায়।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ রবিবার জানান, ড্রোন হামলায় দুজন আহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার রাতে পশ্চিম রাশিয়ার পাঁচটি অঞ্চলে পাঁচটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছেঃ তিনটি কুর্স্ক অঞ্চলে এবং বেলগরদ আর ব্রিয়ান্সক অঞ্চলে একটি করে।
বেলগরদের গভর্নর ভিয়াশেস্লাভ গ্লাদকভ বলনে, ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।