টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে হাজার হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম পর্ব।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হওয়া ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের।
আখেরি মোনাজাতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ইজতেমা মাঠের চারদিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় মুসল্লিতে পূর্ণ হওয়ায় ভবনের ছাদ থেকে, যানবাহনে করে লোকজনকে দোয়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
পার্থিব জীবনে ও আখেরাতে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীও অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম পর্বে দুই দফায় মোট ছয় দিনের জন্য ইজতেমা করছেন দুই ভাগে বিভক্ত তাবলীগের জুবোয়েরপন্থিরা। তৃতীয় ধাপে তিন দিনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে তাবলীগের সা'দপন্থি অংশকে।
তাবলীগের সা'দপন্থি অংশের নেতারা অভিযোগ করছেন, আগামী বছর থেকে তাদেরকে এই মাঠের দাবি ছেড়ে দেয়ার জন্য শর্ত দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিন দিনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাবলীগের সা'দপন্থি অংশকে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত চলাকালে একটি ড্রোন বিকট শব্দে ময়দানে আছড়ে পড়লে আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ।
রবিবার সকালের এ ঘটনায় আহত অন্তত ৪১ জন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মোনাজাত শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসল্লিরা তাদের গন্তব্যে রওনা হলে সড়ক ও ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে পাকিস্তানের মাওলানা মাওলা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তাবলিগ জামাতের শুরা-ই নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ইজতেমার তিন দিনে মোট পাঁচজন মুসল্লি মারা গেছেন।