রাশিয়া শনিবার বলে, তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় উত্তেজনাপূর্ণ শহর তোরেতস্কের পাশে একটি গ্রাম দখল করেছে। কিয়েভ জানিয়েছে রাশিয়ার বিমান হামলায় রাতে চারজন নিহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের সৈন্যরা দোনেস্কের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তোরেতস্কের উত্তর -পূর্বাঞ্চলের শহরতলিতে ক্রিমস্কি গ্রাম দখল করে নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে তীব্র লড়াই চলছে।
বড় রকমের মানবিক ও সামরিক ক্ষতির পরেও, রাশিয়ার সেনাবাহিনী দোনেস্কে ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচলিতভাবে অগ্রসর হচ্ছে।
মঙ্গলবার ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের সৈন্যরা জানায় তোরেতস্ক এবং চাসিভ ইয়ারের নগরাঞ্চলে তীব্র লড়াই চলছে, যা ফ্রন্টলাইনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক কেন্দ্রের অংশ।
ইউক্রেনীয় সামরিক বিশ্লেষকদের একটি গোষ্ঠী, ডিপস্টেট বলে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী কয়েক মাস ধরে বিতর্কিত শহর দু'টির কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
রাশিয়ার হামলায় ৪ জন নিহত
রাতের বেলা ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর পোলতাভা এবং উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে চার জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৭টার কিছু আগে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে বিমান হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করে এবং কয়েকটি অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার হুমকি সম্পর্কেও সতর্ক করে।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা টেলিগ্রামে বলে, পোলতাভায় একটি "আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়" কমপক্ষে তিন জন নিহত এবং কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
তারা ছবি প্রকাশ করে যেখানে দেখা যায় দমকলকর্মীরা একটি ভবনের ভস্মীভূত ধ্বংসাবশেষে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
'রুশ আতংক'
আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ টেলিগ্রামে বলেন, খারকিভে বিমান প্রতিরক্ষার গুলি করে ভূপাতিত করা একটি রাশিয়ান ড্রোন একটি আবাসিক এলাকায় পড়ে। ফলে, একজন নারী নিহত হন এবং আরও চারজনকে আহত হন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, রাতভর করা হামলা তাদের গ্যাস ও জ্বালানি অবকাঠামোর উপর আঘাত হেনেছে। অবকাঠামোটি ইউক্রেনের "সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সে" সরবরাহ করে।
ইউক্রেনের হামলায় ২ জন নিহত
এই সপ্তাহের শুরুতে, ইউক্রেন রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি বড় রকমের ড্রোন হামলা করে। ফলে, একজন শিশু এবং তার মা নিহত হন এবং একটি শোধনাগারে আগুন ধরে যায়।
রাশিয়ার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে তাদের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন এই মাসে চতুর্থ বছরে প্রবেশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারের সময় বলেছিলেন, তিনি ২০ জানুয়ারী দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে ওয়াশিংটন যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, সে সম্পর্কে সমালোচনা করে আসছেন এবং রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন।