গত সোমবার ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর গাজা ভূখন্ডের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের তাদের ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়িতে ফিরে এসে তা পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫।
ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের মাঝেই তারা আবার নতুন করে তাঁবু খাটিয়ে থাকার ব্যবস্থা করছেন।
১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার ফলে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধ স্থগিত হয়েছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর প্রায় দশ লাখ মানুষকে গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এতদিন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদেরকে ফিরে আসতে দেয়নি।
সোমবার সকালে ইসরায়েল উত্তরের পথটি খুলে দেওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে এই চুক্তির আওতায় গাজায় আটক সাত জিম্মি ও ইসরায়েলি কারাগারে আটক ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। পাশাপাশি গাজায় মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করার পর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সূচনা হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ ও বোমাবর্ষণে ৪৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের সিংহভাগ নারী এবং শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরায়েল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।