অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
জাতিসংঘঃ বিদ্রোহীদের হামলায় 'অকল্পনীয়' ভোগান্তিতে পূর্ব কঙ্গোর বেসামরিক মানুষ

জাতিসংঘঃ বিদ্রোহীদের হামলায় 'অকল্পনীয়' ভোগান্তিতে পূর্ব কঙ্গোর বেসামরিক মানুষ


কঙ্গো থেকে আসা লোকজন গাইসেনিতে একটি ট্রাক থেকে নামছে, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫।
কঙ্গো থেকে আসা লোকজন গাইসেনিতে একটি ট্রাক থেকে নামছে, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহীদের কারণে পূর্বাঞ্চলীয় কঙ্গোলিজ শহরটিতে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ "সত্যই অকল্পনীয়"। তিনি দ্রুত লড়াই বন্ধ করার জন্য "জরুরি ও সমন্বিত" আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিআরসিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের উপ-প্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে বলেন, “বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে এবং জীবন রক্ষার মানবিক প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”

গত ৭২ ঘণ্টায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় জরুরি বৈঠকে গোমার পরিস্থিতি বর্ণনা করেন তিনি। ফ্লাক জ্যাকেট ও সামরিক হেলমেট পরে ভিডিও বক্তব্যে ভ্যান ডি পেরে বলেন, “'গোমায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। চলমান লড়াইয়ের তীব্রতার ফলে চিকিৎসাকেন্দ্র গুলো ভরে গেছে। মানবিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত বা কাটছাঁট করা হয়েছে।”

মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, তারা নর্থ কিভু প্রদেশে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখছে। এই প্রদেশটিরই রাজধানী গোমা। এর ফলে আট লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে খাদ্য সহায়তা পাবে না তারা।। সংস্থাটি আরও সতর্ক করে বলেছে, লড়াই শেষ হয়ে গেলেও ২০ থেকে ৩০ লক্ষ বাসিন্দার শহরটিতে খাদ্য সংকট ও উচ্চমূল্য দেখা দিতে পারে।

কেবলমাত্র বেসামরিক লোকজনই এই সংকটের মুখোমুখি হবে তা নয়। সামরিক বাহিনীর অনেকেও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম, বিশেষ করে পানি, খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী ও রক্তের সংকটে পড়বে। জ্বালানি সংকটের ফলে জেনারেটরগুলো অচল হয়ে পড়েছে অনেক শিবিরে। যার প্রভাব পড়ছে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও জানিয়েছেন ভ্যান ডি পেরে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এম২৩ কে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করতে এবং দখলকৃত অঞ্চল থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা রুয়ান্ডার সেনা প্রত্যাহার এবং অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি জোয়াও লরেনকোর তত্ত্বাবধানে লুয়ান্ডার মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবারের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা কায়িকওয়াম্বা ওয়াগনার জোরালো আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার অভাব নিয়ে তার সরকারের হতাশা প্রকাশ করেছেন।

কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার ফ্রান্স ও রুয়ান্ডাসহ কয়েকটি দূতাবাসে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক্স এ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের দূতাবাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে।

XS
SM
MD
LG