ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে কাজ করা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনের সদস্যরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর(আইএসপিআর)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলছে, "ডি আর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদ রয়েছেন এবং তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।"
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, সোমবার কঙ্গোর সবচেয়ে বড় শহর গোমা দখলের দাবি করেছে রুয়ান্ডাভিত্তিক বিদ্রোহীরা। কঙ্গো সরকার বলছে, বিদ্রোহীদের এই অগ্রযাত্রা হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সাহায্যকর্মী বলেন, এরআগে কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল এম২৩ নামের বিদ্রোহীরা। কিন্তু সোমবার সকালে শহরজুড়ে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়।
এক বিবৃতিতে গোমার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা। শহরের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে কঙ্গোর সামারিক বাহিনীর সদস্যদের জড়ো করছেন তারা।
আফ্রিকার অন্যতম দীর্ঘ যুদ্ধে নাটকীয়ভাবে কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বসেছে এম২৩ বিদ্রোহীরা। এতে সেখানকার নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
উত্তর কিভু প্রদেশে গোমা শহরটির অবস্থান। এই প্রদেশের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক এরইমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, গেল ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শান্তিরক্ষী এবং উরুগুয়ের একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও এগারো জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রুয়ানার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়তায় কঙ্গোতে হামলা চালিয়েছেন এম২৩ বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সব ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।