অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে উস্কানিদাতা’ হিসেবে চার্জ গঠন


দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল অভিশংসন শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন ফাইল ফটোঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল অভিশংসন শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন ফাইল ফটোঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লকে রবিবার “বিদ্রোহের উস্কানিদাতা” হিসেবে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেছেন দেশটির কৌঁসুলিরা। দেশে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হলো। কৌঁসুলিরা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া এই নেতাকে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে কৌঁসুলিরা আজ বলছেন তারা “ইউন সুক ইয়লের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উস্কানিদাতার ভূমিকা পালনের অভিযোগ এনে তাকে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।”

গ্রেপ্তারের পর থেকেই সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছেন তিনি। এবার আনুষ্ঠানিক আটকাদেশসহ চার্জ গঠনের অর্থ হলো, ইউনকে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কারাবন্দী রাখা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হতে হবে ।

তদন্ত চলাকালীন ইউনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কৌঁসুলিরা। তবে আদালত তা পরপর দুইবার নাকচ করে। যার ফলে, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাকে আটক করার বিষয়টি অবধারিত হয়ে পড়ে।

“তদন্তের সময় পাওয়া তথ্য-প্রমাণের বিস্তারিত নিরীক্ষার পর কৌঁসুলিরা এই উপসংহারে পৌঁছান যে, বিবাদীকে অভিযুক্ত করাই সবচেয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ”, এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

তারা জানান, "তথ্য-প্রমাণ ধ্বংস করার নিরবচ্ছিন্ন ঝুঁকির’ কারণে ইউনকে কারাবন্দী রাখা যুক্তিযুক্ত।"

তারা আরও জানান, বিদ্রোহে উস্কানিদাতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগটি প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির আওতায় পড়ে না।

'স্টপ দ্য স্টিল'

বিরোধীপক্ষ এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।

আইনপ্রণেতা হ্যান মিন-সু বলেন, “যারা একটি অবৈধ বিদ্রোহ ঘটানোর চক্রান্ত করেছিল, তাদের পাশাপাশি, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যারা এই উদ্যোগে ইন্ধন জুগিয়েছে, তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে”।

ইউন “শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার” অঙ্গীকার করেছেন। তার সমর্থনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বয়ানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা “স্টপ দ্য স্টিল” (চুরি বন্ধ করো) মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন।

আগামীতে ইউন কয়েক দফায় সাংবিধানিক আদালতের শুনানির মুখোমুখি হবেন। এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, তাকে অভিশংসন করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কিনা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা।

যদি আদালত ইউনের বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ হারাবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

XS
SM
MD
LG