ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর শুক্রবার জানায় চুক্তির শর্তগুলি পূরণ না হওয়ায় অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে দেওয়া রবিবারের সময়সীমার পরও ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে থাকবে।
২৭ নভেম্বর সূচিত এই চুক্তি অনুযায়ী লিতানি নদীর দক্ষিণের অঞ্চলগুলি থেকে হেজবুল্লাাহর অস্ত্র ও যোদ্ধাদের সরিয়ে নিতে হবে এবং ওই অঞ্চলে লেবাননের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হলে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরে যেতে হবে। এর সব কিছুই সম্পন্ন করার কথা ৬০ দিনের সময়সীমার মধ্যে যা রবিবার ভোর চারটায় শেষ হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে ইসরায়েল এবং ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা বৈরীতার অবসান ঘটে। লড়াইটি চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যখন ইসরায়েলের বড় রকমের আক্রমণে হেজবুল্লাহ মারাত্মক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে এবং লেবাননে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অন্যান্য পশ্চিমি রাষ্ট্র হেজুল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি “লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে লেবাননী সেনা মোতায়েন এবং লিতানির অপর পার থেকে হেজবুল্লাহর প্রত্যাহার আর সম্পূর্ণ ও কার্যকর ভাবে চুক্তি প্রযোগের উপর নির্ভর করছে”।
বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, “ যেহেতু লেবানন রাজ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি এখনও সম্পূর্ণ ভাবে প্রয়োগ করা হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে”।
লেবানন কিংবা হেজবুল্লাহর কাছ থেকে কোন তাত্ক্ষণিক মন্তব্য আসেনি।
মন্তব্যের জন্য অনুরোথে হোয়াইট হাউস তাত্ক্ষণিক ভাবে কোন সাড়া দেয়নি।
বৃহস্পতিবার হেজবুল্লাহ বলে যে ইসরায়েলের প্রত্যাহারে কোন বিলম্ব হবে এই চুক্তির অগ্রহণযোগ্য লংঘন। আর এই বিষয়টি “আন্তর্জাতিক চার্টারে দেওয়া সকল উপায় ও পদ্ধতির মাধ্যমে” লেবাননকে মোকাবিলা করতে হবে।
ইসরায়েল বলেছে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে হেজবুল্লাহর রকেট নিক্ষেপে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের যে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, তাদের ফিরে আসাটা নিশ্চিত করা।
সংঘাতের সময়ে তারা হেজবুল্লাহর উপর কঠোর আঘাত হেনেছে যাতে তাদের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং তাদের গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং তাদের অস্ত্র সম্ভারের অনেকটাই ধ্বংস করা হয়েছে।
হেজবুল্লাহ গত ডিসেম্বরে আরও দূর্বল হয়ে পড়ে যখন তাদের সিরীয় মিত্র , বাশার আল আসাদ ক্ষমতাচ্যূত হন এবং সিরিয়ার উপর থেকে ইরান থেকে সরবরাহের পথটি বন্ধ হয়ে যায়।