অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিডিআরের তিন শতাধিক সাবেক সদস্য ১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তিন শতাধিক অভিযুক্ত ১৬ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীরা বের হতে থাকে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৭৮ জন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৬ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া বিস্ফোরক মামলায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অস্থায়ীভাবে আদালত স্থাপন করা হয়।

মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বন্দীদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুই কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলার এ কে এম মাসুদ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ ১৭৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। বাকিদের পরে ছেড়ে দেওয়া হবে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

এ সময় স্বজনেরা কারা ফটকে মুক্তিপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি খাওয়ান। অনেককে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে সাক্ষাতে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টারে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর একটি হত্যা মামলায় ১৫০ জন বিডিআর সদস্য ও ২ বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট ১৫২ অভিযুক্তের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সরকার বিডিআরের (বাংলাদেশ রাইফেলস) নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করে। একইসঙ্গে বাহিনীর পোশাকেও আনা হয় পরিবর্তন।


XS
SM
MD
LG