তালিবান কর্তৃপক্ষ বুধবার জানায় যে আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুক হামলায় একজন চীনা নাগরিক নিহত হন তবে তার স্থানীয় দোভাষীর অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেছেন।
ইসলামিক স্টেটের আফগান ভিত্তিক সহযোগী আই-এস খোরাসান তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী তাখার প্রদেশে রাতের বেলার এই মারণাঘাতের দায় স্বীকার করে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি তারা নিজস্ব মাধ্যম আমাগে বলেছে যে তাদের “সৈনিকরা” মেশিন গান দিয়ে এই চীনা লোকটাকে লক্ষ্যবস্তু করে ।
তালিবান কর্মকর্তারা বলেন এই নিহত বেসামরিক নাগরিক আফগানিস্তানে একটি খনিজ কোম্পানির জন্য কাজ করতেন।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আকবর বলেন মঙ্গলবার দিনের শেষে এই চীনা নাগরিককে তাঁর দোভাষীসহ দাশত-এ-কালা জেলার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যখন গাড়িটির উপর আচমকা আক্রমণ হয়।
আকবর বলেন বিদেশি ভ্রমণকারীদের পথযাত্রার সময় স্থানীয় পুলিশকে অবশ্যই খবর দেওয়া উচিৎ, তবে তিনি বলেন যে নিহত এই চীনা নাগরিক সেটা করেননি। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন যে এই আক্রমণের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
এই গুলির ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলে বেইজিং’এ চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “ আমার বিশ্বাস ঠিক কি ঘটেছে সে ব্যাপারে আফগানিস্তানে আমাদের দূতাবাস তথ্য খুঁজে পাবে এবং চীনা নাগরিকদের আইনসঙ্গত অধিকার ও স্বার্থ এবং তাদের নিরাপত্তার সুরক্ষার জন্য যতটা সম্ভব তার সবটুকুই করবে”।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এ ধরণের ঘটনার পর মঙ্গলবার আফগানিস্তানে চীনা নাগরিকের উপর এই মারণাঘাত ছিল এই প্রথম। সেই সময়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রিয় কাবুলের একটি হোটেলে আইএস -খোরাসান জঙ্গিরা ঝটিকা হামলা চালায়। ওই হামলায় তিন জন আফগান নিহত হন এবং পাঁচ জন চীনা নাগরিকসহ ১৮ জন আহত হন।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের পশ্চিমি মিত্ররা প্রায় দুই দশক ধরে উপস্থিত থাকার পর যখন তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়, তখন থেকে তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় গ্রহণ করে।