অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোর মামলা


জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিস। (২০ জানুয়ারি, ২০২৫)
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিস। (২০ জানুয়ারি, ২০২৫)

আমেরিকার ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া অনিবন্ধিত বাবা-মায়ের সন্তানদের জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিলের উদ্যোগ থামাতে মামলা ঠুকেছে।

অঙ্গরাজ্যগুলোর মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওয়াশিংটন, ডিসি ও সান ফ্রানসিসকোর নগর সরকার। সোমবার শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প যেসব আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তার মধ্যে এটাই সর্বপ্রথম আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সাংবিধানিক অধিকার উপভোগ করে থাকে। আদালতের রায়ে এই আইনের ব্যত্যয় হওয়ার নজির খুবই কম, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিবিদ সন্তানের জন্ম দিলে তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার জানানোর মতো বিরল ঘটনার ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা এককভাবে সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় বা বড় আকারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

তবে ট্রাম্প ১ কোটি ১০ লাখ বা তার চেয়েও বেশি অনিবন্ধিত অভিবাসীর বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যেখানে আমেরিকার সংস্থাগুলোকে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দেওয়া বা এ সংক্রান্ত নথি দেওয়ার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এসব মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তিনটি মামলা বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনকর্ডে দায়ের করা হয়। চারটি অঙ্গরাজ্য ওয়াশিংটনে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেছে।

ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল জানান, যদি ট্রাম্পের এই আদেশ কার্যকর হয়, তাহলে বছরে দেড় লাখেরও বেশি নবজাতক শিশু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

“সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের”, এক বিবৃতিতে জানান তিনি।

নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল প্ল্যাটকিন মঙ্গলবার মন্তব্য করেন, প্রেসিডেন্টদের বৃহত্তর কর্তৃত্ব থাকতে পারে, কিন্তু তারা রাজা নন।

“প্রেসিডেন্ট চাইলেই কলমের খোঁচায় সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী উড়িয়ে দিতে পারে না”, যোগ করেন তিনি।

এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ রয়টার্স ও এপি থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG