যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে শপথ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। রুবিও অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আপ্যায়ন করতে সময় নষ্ট করেননি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ তার চীনের প্রতি মনোনিবেশের ইঙ্গিত দেয়।
মঙ্গলবার বিকেলে কোয়াডের সদস্য দেশ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াইয়া তাকেশির সাথে বৈঠক করেন রুবিও।
পড়ে রুবিও ও তার সহযোগীরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, “আমাদের চারটি দেশ বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইন, অর্থনৈতিক সুযোগ, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সামুদ্রিক অঞ্চলসহ সকল ক্ষেত্রে নিরাপত্তা হলো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ভিত্তি। আমরা জোর করে বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চায় এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করি।”
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, আপাতদৃষ্টে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো ব্যয় হ্রাস এবং ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে “বিচ্ছিন্ন থাকা” সম্পর্কে উদ্বেগ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে আঞ্চলিক কাঠামোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এমন আস্থা রয়েছে।
স্টিমসন সেন্টারের চীন কর্মসূচীর পরিচালক ইয়ুন সান মঙ্গলবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আমি মনে করি, কোয়াড দেশগুলোর চার মন্ত্রীর এই বৈঠক একটি স্পষ্ট সংকেত যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের উত্থান মোকাবিলায় তার মিত্র ও অংশীদারদের আঞ্চলিক জোটকে ত্যাগ করছে না।”
অন্যরা উল্লেখ করেছেন, চীন সম্পর্কে রুবিওর দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের প্রত্যাশার চেয়ে আলাদা। তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রুবিওকে বেইজিং সরকারের সাথে কীভাবে সম্পৃক্ত হতে হবে তা খুঁজে বের করতে হবে।
উড্রো উইলসন সেন্টারের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম পোমেরানজ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “চীনের বিরোধিতা করা, চীনের সাথে লেনদেন না করা এবং বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে মার্কো রুবিওর ব্যাপক ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।”
“আমি মনে করি চীন মূলত ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পুনরায় সংশ্লিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু মার্কো রুবিওর সাথে নয়।”
গত বুধবার কনফারমেশান হিয়ারিং-এর সময় রুবিও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকির পাশাপাশি পশ্চিম গোলার্ধে গণ অভিবাসন, ফেন্টানল এবং সহিংস অপরাধসহ বিদেশ নীতির মূল চ্যালেঞ্জগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি মস্কো, তেহরান ও পিয়ংইয়ং-এর স্বৈরশাসকদের অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর পাশাপাশি মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাথে জোট বেঁধে অর্থায়নের বিষয়েও সতর্ক করেন।