হামাস বলেছে, তারা শনিবার আরেক দফায় জিম্মিদের মুক্তি দেবে। ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি তৃতীয় দিনের মত স্থগিত রয়েছে এবং জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষদের সহায়তার জন্য গাজায় ত্রাণ পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জিম্মিদের পরবর্তী দলে থাকবে চারজন ইসরায়েলি নারী। ইসরায়েলের হাতে আটক বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় বাকি রয়ে গেছে। তাই ইসরায়েল এবং হামাস পরবর্তী ধাপের শর্তাবলী কত দ্রুত ও সফলভাবে আলোচনা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের আগে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের টিম ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তারা চাপ দিয়েছিল। সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী নই।” “এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। এটা তাদের যুদ্ধ।”
ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন গাজার পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় ‘সহায়তা করতে পারে’। তিনি অঞ্চলটিকে ‘বিশাল ধ্বংসাত্মক স্থানের’ সাথে তুলনা করেছেন।
পনেরো মাসের যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যুদ্ধে অনেক বাড়িঘর ধুলোয় মিশে গেছে। নিরাপত্তার সন্ধানে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধ থামার পর তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার আশা করেছিল।
যুদ্ধবিরতিতে এ পর্যন্ত গাজায় আটক তিনজন জিম্মির পাশাপাশি ইসরায়েলের হাতে আটক ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিস জানায়, সোমবার ৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মির করার পর বর্তমান সংঘাত শুরু হয়। গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।