অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্পের অভিষেকের একদিন আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু


 ইসরায়েলি সরকারের প্রেস দপ্তর থেকে দেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতোনিয়াহু ((বাম থেকে ষষ্ঠ) গাজায় অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি সম্পর্কে ভোট পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।
ইসরায়েলি সরকারের প্রেস দপ্তর থেকে দেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতোনিয়াহু ((বাম থেকে ষষ্ঠ) গাজায় অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি সম্পর্কে ভোট পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে। ২৪ জন মন্ত্রী চুক্তিটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং আটজন মন্ত্রী চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। রবিবার থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার মধ্যাহ্নে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে ওই চুক্তিটি কার্যকর হবে কি না তা দেখবে ট্রাম্প প্রশাসন।

চুক্তিটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে। প্রতিটি ধাপ ছয় সপ্তাহ করে স্থায়ী হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের শর্তাবলী নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। তবে প্রথম ধাপের অধীনে পরবর্তী ধাপ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যদি ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, তা হলে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রথম ধাপের মধ্যে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং গাজার জন্য আরও সহায়তা, পাশাপাশি ইসরায়েলি কারাগারে আটক কিছু ফিলিস্তিনি এবং হামাসের হাতে আটক আমেরিকানসহ কিছু জিম্মির মুক্তি। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের মিডল ইস্ট প্রোগ্রামের স্কোক্রফট মিডল ইস্ট সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো আহমেদ ফুয়াদ আলখাতিব মনে করেন, যুদ্ধ দ্রুত সমাপ্ত করতে ট্রাম্পের আগ্রহের একটি “মৌলিক বিষয়” হলো যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মিদের মুক্তি।

বুধবার একই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য নিজেকে কৃতিত্ব নেন।

টুইটে ট্রাম্প বলেন, “এই যুগান্তকারী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কেবল নভেম্বরে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের ফলেই ঘটেছে। কারণ এই বিজয় পুরো বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে যে, আমার প্রশাসন শান্তি চাইবে এবং সকল আমেরিকান ও আমাদের মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমার প্রশাসন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবে।”

বাইডেন প্রশাসন কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে ট্রাম্পের টিমকে শান্তি আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার এক সপ্তাহ পরে ওভাল অফিসে বৈঠকের মাধ্যমে এই অন্তর্ভুক্তিকরণ শুরু হয়। ১৩ নভেম্বরের ওই বৈঠকে বাইডেন প্রস্তাব দেন, চুক্তিটি সম্পাদন করাতে করতে তারা একসাথে কাজ করবেন।

সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, বাইডেন নেতানিয়াহুর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার সুবিধা ব্যবহার করে চুক্তিতে পৌঁছাতে বা ইসরায়েলের অভিযানকে কমিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

XS
SM
MD
LG