মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) একটি প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে পাঠানো বার্তায় এই প্রতিবেদেন নিয়ে অসন্তোষের কথাও বলা হয়েছে।
কীসের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, জাতিসংঘের কাছে সেটাও জানতে চেয়েছে সরকার। সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘ সঠিক তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
বিগত ৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মিয়ানমার কার্যালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭১ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের সবাই ভারতের মনিপুর ও মিজোরামে প্রবেশ করেছেন।
গত তিন বছরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে কেউ অনুপ্রবেশ করেননি বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়ে এসেছে, গত বছরের ২৪ অক্টোবর রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর 'নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ' প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনসহ রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি 'জরুরি মনোযোগ' দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।