অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইন্দো-প্যাসিফিকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ বাইডেনের দলের


ফাইল ছবি—বাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের হিরোশিমায় জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে কোয়াড জোটের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ২০ মে, ২০২৩।
ফাইল ছবি—বাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের হিরোশিমায় জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে কোয়াড জোটের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ২০ মে, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিকে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মতো শত্রুভাবাপন্ন দেশের মোকাবিলায় মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান নবনির্বাচিত ট্রাম্প প্রশাসনকে এই কৌশল অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে সালিভান বলেন, “আমি তাদের কাছে যে যুক্তি উপস্থাপন করব, তা হলো, ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য পর্যায়ের শক্তিশালী।”

তিনি বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (আমাদের কৌশলে) উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের না এনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত। তবে আগামীতে যে দলটি দায়িত্বভার নিতে চলেছে, তারা পরিশেষে কী করবে, সেটা আমার জানা নেই।”

ফাইল- হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখছেন। ১৪ ফেব্রুযারি,২০২৪।
ফাইল- হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখছেন। ১৪ ফেব্রুযারি,২০২৪।

সালিভানকে বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অন্যতম প্রধান কুশীলব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে (বিদায়ী) প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল “বড় আকারে কাজ করা”। তিনি হুশিয়ারি দেন, এই কৌশল থেকে সরে আসাটা “ঝুঁকিপূর্ণ হবে”।

তবে সালিভান স্বীকার করেন, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ উদ্যোগে তেমন কোনো অগ্রগতি এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিদায়ী প্রশাসন।

তিনি কিয়েভের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে (বিদায়ী) প্রশাসনের হুশিয়ারির পুনরাবৃত্তি করেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সালিভান বলছেন, ইউক্রেনে যা ঘটবে তা ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর প্রভাব ফেলবে, কারণ “চীন সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছে”।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ঊন সহযোগিতার দলিল স্বাক্ষরের পর করমর্দন করছেন। জুন ১৯,২০২৪।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ঊন সহযোগিতার দলিল স্বাক্ষরের পর করমর্দন করছেন। জুন ১৯,২০২৪।

বাইডেনের সহযোগীরা প্রায়ই কিয়েভের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে পশ্চিমের অনীহায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এরকম কিছু হলে চীনও রাশিয়ার পথ অনুসরণ করার সাহস পাবে এবং অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিবেশী তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাবে। অথবা, আরও আগ্রাসী আচরণ দেখিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত ভূখণ্ডগুলোর ওপর দাবি স্থাপন করবে।

সালিভান আত্মবিশ্বাস নিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আরও সম্প্রসারিত করতে বর্তমান প্রশাসন “পরবর্তী দলের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে”এবং একইসঙ্গে, তাদের উদ্যোগে ইন্দো-প্যাসিফিকে “ক্ষমতার ভারসাম্য পাল্টেছে,” বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বাইডেনের জোট ও অংশীদারিত্বের নেটওয়ার্ক তৈরির দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াডের সম্প্রসারিত পারস্পরিক সহযোগিতা এবং একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অকাস (এইউকেইউএস) নিরাপত্তা চুক্তি চূড়ান্ত করে ক্যানবেরাকে এ অঞ্চলে পারমাণবিক সক্ষমতা-সম্পন্ন ডুবোজাহাজের মাধ্যমে নৌ-টহল জোরদার করার সুযোগ এনে দেওয়া।

সালিভান যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়টিও উল্লেখ করে জানান, দুই সাবেক প্রতিপক্ষ এখন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় একজোট হয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফিলিপাইনের যৌথ উদ্যোগে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী উদ্যোগ স্তিমিত করার কথাও বলেন তিনি।

ভয়েস অফ আমেরিকার স্টিভ হারম্যান এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন

XS
SM
MD
LG