আসন্ন ঈদুল ফিতরে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ বোনাসসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শ্রমিক সমাবেশে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাজারে জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে, কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ছে না। আগের মজুরি দিয়ে বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের পক্ষে বেঁচে থাকা কষ্টদায়ক। সারা সপ্তাহ কাজ করার পর আমাদের যে মজুরি পাওনা হয়, মালিকেরা তার আংশিক পরিশোধ করে, বাকি টাকা তাদের কাছেই থেকে যায়। তাই বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির করা হোক।
তারা বলেন, পরিবার নিয়ে দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করছে শ্রমিকেরা। তবে শ্রম আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি দিচ্ছে না মালিকেরা।
তাদের দাবি, মালিকেরা শ্রম আইনের পরোয়া না করেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। প্রতি ঈদে এক মাসের মজুরির সমান ২টি উৎসব বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। এমনকি, আইন অনুযায়ী প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না।
সংগঠনটির দাবিগুলো হলো—
১. বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে স্থানীয় গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ।
২. ৮ ঘণ্টা কাজ এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে।
৩. রমজানের ঈদে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ বোনাস দিতে হবে।
৪. বেআইনি ও অমানবিকভাবে আটকে রেখে চাঁদরাতে মজুরি পরিশোধের প্রথা বন্ধ করতে হবে।
৫. প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে আগের মাসের মজুরি পরিশোধ করতে হবে।
৬. কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চাকরির নিশ্চয়তা ও নারী শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য দূর করতে হবে এবং রাত্রিকালীন অতিরিক্ত ডিউটির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা দিতে হবে।