ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্যারিস কে তাদের “ অগঠনমূলক” দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। তেহরান প্রধান ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে নতুন দফা আলোচনা শুরু করার কয়েকদিন আগে এ আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, তেহরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধন অভিযান বন্ধ করা যাবে না। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানের সাথে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে কোন অগ্রগতি না হলে ইউরোপীয় অংশীদারদের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাইয়ি বুধবার এক টুইট বার্তায় বলেন, “যে সরকার পরমাণু সমঝোতার অধীনে তার বাধ্যবাধকতা পূরণে অস্বীকার করেছে এবং (ইসরায়েলের) পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে, তাদের অসত্য দাবি প্রতারণামূলক এবং অভিকল্পিত।”
ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন ২০১৫ সালের চুক্তিতে সহ-স্বাক্ষরকারী ছিল। ওই চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তাদের পরিশোধন কার্যক্রম সীমিত করতে রাজি হয়েছিল। এই কার্যক্রমকে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা বিকাশের একটি ছদ্মবেশী প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়।
ইরান বলছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম পরিশোধন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা থেকে ওয়াশিংটনকে প্রত্যাহার করে নেন। তেহরানের উপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর থেকে এই কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে।
ফরাসি, জার্মান ও ব্রিটিশ কূটনীতিকরা তেহরানের সাথে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আগামী মাসগুলোতে গুরুতর আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে ১৩ জানুয়ারি ইরানি কূটনীতিকের সাথে পরবর্তী বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসছেন।
ইরানে আটক তিনজন ফরাসি নাগরিকের বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্য-নোয়েল বারোটের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেননি বাঘেই।
মঙ্গলবার ব্যারোট বলেছিলেন, ইরানের ওপর থেকে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নির্ভর করবে তাদের মুক্তির উপর।