এক সাঁওতাল নারীকে নির্যাতন ও তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বলেন, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার শাহবাগের প্রিতম হোটেল থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ।
সাঁওতাল নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজাবিরাট এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজবিরাট আদিবাসী পাড়ার এক সাঁওতাল নারীকে মারধর ও তার বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মারধরে আহত ফিলোমিনা হাসদা (৫৫) বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পরিবার।
এই ঘটনার পর রফিকুল ইসলামকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপির গাইবান্ধা জেলা শাখা।
সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফিলোমিনা হাসদার ছেলে ব্রিটিশ সরেন বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পাশে সাঁওতালদের পৈতৃক জমি, যা বাঙালিরা দখল করে নিয়েছে, সেই জমিতে রফিকুল ইসলাম মাটি ভরাট করছিলেন। তা দেখে গ্রামের কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দিতে গেলে আমার খালাতো ভাই নিকোলাস মুর্মুকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, খালাতো ভাইকে মারধরের কথা শুনে আমি প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে আসেন। এ সময় আমার মা চেয়ারম্যানের লাঠি ধরতে গেলে চেয়ারম্যান তার কানে থাপ্পড় দেন। এতে মা মাটিতে পরে যান ও তার কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে।
ওই রাতেই চেয়ারম্যানের লোকজন বাড়িতে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পরদিন ফিলোমিনা হাঁসদার আরেক ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই ও অন্য চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, “প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাঁকে গাইবান্ধায় ফিরিয়ে আনা হবে।"