মঙ্গলবার হিমালয়ের পাদদেশে, তিব্বতের অন্যতম পবিত্র শহরের নিকটস্থ স্থানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জন নিহত ও শত শত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল । প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও ভারতও এসময় এর প্রভাবে কেঁপে ওঠে।
চীনের আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত টিংরি অঞ্চলে। প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিল এর ব্যাপ্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভিস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.১। এটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তিব্বতের দিকে অন্তত ৯৫ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছেন। অন্য কোন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের প্রভাব আট লক্ষ মানুষের আবাস তিব্বতের শিগাৎসে অঞ্চল জুড়ে অনুভূত হয়। এই অঞ্চলটির প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে শিগাৎসে শহর, যেটা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব পাঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী আসন।
তিব্বত ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউর প্রকাশিত ভিডিও থেকে পাও্যা গেছে, শহরটির অনেক বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। চীন ১৯৫৯ সালে তার জন্মভূমি তিব্বত দখল করে নেবার পর তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
মাউন্ট এভারেস্ট পর্বতারোহী এবং ট্রেকারদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। যদিও নেপালে শীতের সময় পর্বোতারোহীদের মরশুম নয়।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর এভারেস্ট এলাকা পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে চীন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সর্বাত্মক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
নিউজ এজেন্সি সিনহুয়া আরও জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দেড় হাজারের বেশি দমকল কর্মী ও উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া, তাঁবু, কোট, কুইল্ট ও ফোল্ডিং বেডসহ আরও প্রায় ২২ হাজার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।