নববর্ষে নিউ অরলিনসে জঙ্গি হামলা ও লাস ভেগাসে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে সাইবারট্রাকে বোমা হামলার পর ওয়াশিংটন ও এর আশেপাশের আইন প্রয়োগকারী ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো বাড়তি লোকবল মোতায়েন করছে। রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার প্রথম অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এই বৈঠককে ঘিরেই এই ক্যাপিটল ভবনে বিক্ষোভ দাঙ্গায় পরিণত হয়েছিল।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সেদিন শুরু হয়ে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বৃহস্পতিবার নাগাদ শেষ হবে।
সর্বশেষ উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানটি হলো ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক।
যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসের স্পেশাল এজেন্ট ইন চার্জ ম্যাট ম্যাককুল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “এরকম এর আগে আর কখনোই হয়নি। পনেরো দিনের মধ্যে তিনটি (বিশেষ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক) অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে যাচ্ছে।”
নিউ অরলিনসের হামলা ও লাস ভেগাসের বোমা হামলার ঘটনাকে ঘিরে উদ্বেগ দেখা দিলেও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী যে ওয়াশিংটনের এই অনুষ্ঠানগুলো নিরাপদেই অনুষ্ঠিত হবে।
এফবিআইর ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইন চার্জ ডেভিড সান্ডবার্গ বলেন, “আমরা এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনো বিশ্বাসযোগ্য বা সুনির্দিষ্ট হুমকি দেখতে পাচ্ছি না।”
তবে আইন প্রয়োগকারী ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো কোনো কিছুতে ছাড় দিচ্ছে না। তারা স্বীকার করছে, এই শহর ও সার্বিকভাবে, পুরো অঞ্চল এখন উচ্চ মাত্রার হুমকি পরিস্থিতিতে রয়েছে।
সিক্রেট সার্ভিস শুক্রবার বলছে তারা সারা দেশ থেকে এজেন্ট নিয়ে এসে লোকবল বাড়িয়েছে, যা ইতোমধ্যে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
ওয়াশিংটনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ বলছে তারা দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে চার হাজার বাড়তি পুলিশ কর্মকর্তাকে ওয়াশিংটনে নিয়ে এসেছে।
রাজধানীর ন্যাশনাল গার্ড ব্যুরো নিশ্চিত করেছে, তারা বাড়তি সহায়তার অনুরোধ অনুমোদন করেছে। সংস্থাটি ৬ জানুয়ারির নির্বাচন অনুমোদন অনুষ্ঠানের জন্য ৫০০ রক্ষী ও রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের জন্য লিয়াজো কর্মকর্তা মোতায়েন করবে।
ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ন্যাশনাল গার্ডের আরও সাত হাজার ৮০০ সেনা ও আকাশরক্ষী মোতায়েনের অনুরোধের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ওয়াশিংটনের কিছু এলাকা এবং ক্যাপিটল ভবনের আশেপাশের কিছু জায়গায় প্রতিবন্ধক ও বেড়া বসানোসহ আরও বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। আরও কিছু উদ্যোগ আগামীতে আসবে বলে জানা গেছে।