ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে একজন ইরানি নাগরিক যে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ধান তালিকায় ছিল তাকে আটক করায় ইরানে নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূতকে শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ওই ইরানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধে ড্রোন আক্রমণে তার ভূমিকা ছিল।
এই তলবের ঠিক একদিন আগেই ইরান যে একজন ইতালীয় প্রতিবেদক সিসিলিয়া সালাকে গ্রেপ্তার করে তা নিয়ে ইতালি একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। সালা, যিনি সাংবাদিকের ভিসায় তেহরানে কাজ করছিলেন তাকে ১৯ ডিসেম্বর ইরান আটক করে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা “ ইতালিকে আমেরিকার পণবন্দি নীতি প্রত্যাখ্যান করতে বলেন- যা কীনা আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষত মানবাধিকার বিরোধী এবং যথা শীঘ্র সম্ভব মি [ মোহাম্মদ] আবেদীনকে মুক্তি দিতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি এড়াতে বলেন”।
বৃহস্পতিবার রোমে ইরানি দূতাবাস বলে যে সালাকে প্রয়োজনীয় মানবিক সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং এই প্রথম তার মামলাটি আবেদিনির সাথে সম্পৃক্ত করা হলো।
ইরান সোমবার বলে যে সালাকে “ ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির আইন লংঘনের জন্য” গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
সালার গ্রেপ্তারের তিন দিন আগে ইরানের ব্যবসায়ী আবেদিনিকে মিলানের মালপেন্সা বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করা হয় । ড্রোনের অংশ পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওয়াশিংটন বলছে ২০২৩ সালের আক্রমণে এগুলি ব্যবহার করা হয় এবং জর্দানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন জন সেনাকর্মী নিহত হন।
ইরান এই আক্রমণে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।
আবেদিনীকে বর্তমানে একটি কারাগারে আটক রাখা হয়েছে এবং আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে যে বিচারকরা যখন তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুরোধ বিবেচনা করছেন তখন তাকে এ মাসের জন্য গৃহবন্দি রাখা হবে কী না।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানত গোয়েন্দাগিরি করা এবং নিরাপত্তা জনিত কারণে কয়েক ডজন বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের গ্রেপ্তার করেছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলি ইরানকে এই বলে অভিযুক্ত করেছে যে এ ধরণের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইরান অন্যান্য দেশের কাছ থেকে জোর করে সুবিধা আদায় করতে চায়। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।