ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রোমে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সাংবাদিক সিসিলিয়া সালার মুক্তির দাবি জানান।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানী তেহরানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সালাকে ইরানের এভিন কারাগারে রাখা হয়েছে। ওই সাংবাদিক ইরানে এসাইনমেন্টে ছিলেন এবং তার বৈধ সাংবাদিক ভিসা ছিল।
ইরান সালার বিরুদ্ধে ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগ এনেছে। তবে অন্যেরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ইতালি একজন সুইস- ইরানি ব্যবসায়ীকে আটক করার পরে সালার গ্রেপ্তার একটি প্রতিশোধ মূলক পদক্ষেপ।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রিকার্ডো গোয়ারিগলিয়া ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা সাবরির সাথে সালার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ঐ সাংবাদিকের ‘ তাৎক্ষণিক মুক্তির’ জন্য অনুরোধ করেছেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও বৃহস্পতিবার সালার মামলা নিয়ে আলোচনার জন্য তার পররাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রী এবং ইতালির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠক ডেকেছেন।
সালা একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক। তিনি ইরান, আফগানিস্তান এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন। তিনি ইল ফোগলিও সংবাদপত্রের কন্ট্রিবিউটর এবং চোরা মিডিয়াতে “ গল্প” নামের একটি পডকাস্টের উপস্থাপনা করেন।
সালার গ্রেপ্তারের বিস্তারিত প্রকাশের পর গত সপ্তাহের শেষের দিকে চোরা মিডিয়া একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। রোমে ফেরার একদিন আগে ওই সাংবাদিককে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে তারা।
রোমে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে গুয়ারিগলিয়া জোর দিয়ে বলেন, তেহরানে ইতালীয় দূতাবাসের কর্মীদের সালার সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়া উচিত এবং তাকে নিশ্চিন্ত করার অনুমতি দেয়া উচিত।
রোমে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, গুয়ারিগলিয়া ও সাবুরি ‘ বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠকে’ সালা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তারা মিলানে আটক সুইস-ইরানি নাগরিক মোহাম্মদ আবেদিনি নাজাফাবাদি (যিনি আবেদিনি নামে পরিচিত) নিয়েও আলোচনা করেছেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস এক বিবৃতিতে বলে, এই গ্রেপ্তার "ইরানে সাংবাদিকরা প্রতিদিন যে হুমকির মুখোমুখি হন তা স্মরণ করিয়ে দেয়।"
মিডিয়া ফ্রিডম গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ সাংবাদিকদের কারাগারে বন্দীকারীদের মধ্যে ইরানের অবস্থান সপ্তম।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।