আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের জন্য নয়, সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন বলেন, “কিছু পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য কর ছাড়ের ফলে সৃষ্ট রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করার জন্য সমন্বয় জরুরি ছিল।”
তিনি বলেন, ৪৩টি পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না বা সাধারণ মানুষের বোঝা বাড়াবে না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তিন তারকা ও উচ্চমানের হোটেলের মতো বিলাসবহুল পণ্যের ওপর বেশি কর আরোপ করা হয়েছে। “উদ্দেশ্য হলো রাজস্ব আদায়ে সুষম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যাতে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় না পড়েন।”
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, তারল্য বজায় রাখতে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি বাজেট সম্পদ বরাদ্দ করা, এই গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে শক্তিশালী করা।”
এর আগে বুধবার ৪৩টি পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ; পাশাপাশি কিছু পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এদিকে সমন্বয়গুলো বিলাসবহুল পণ্যগুলোকে লক্ষ্য করে হলেও বৃহত্তর অর্থনীতিতে তার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মনে উদ্বেগ রয়ে গেছে।