তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে চীনের সাথে সমান ও মর্যাদাপূর্ণ বিনিময়কে স্বাগত জানাতে তার প্রশাসনের ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেও বিনিময় পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে বেইজিং বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
২০২৪ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নববর্ষের ভাষণে লাই বলেন, “তাইওয়ান পারস্পরিক মর্যাদার নীতির অধীনে চীনের সাথে সুস্থ ও সুশৃংখল বিনিময় আশা করে এবং [ বেইজিং] তাইওয়ান এর সাথে খোলাখুলি এবং উদারভাবে সহযোগিতা করতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য চীনের প্রচেষ্টা কেবল আন্তঃপ্রণালী বিনিময় এবং তাইওয়ানের জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য “খারাপ” হবে।
লাই বলেন, বেইজিং তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে চীনা পর্যটকদের ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপ করে বা চীনা শিক্ষার্থীদের তাইওয়ানে পড়াশোনা করতে বাধা দিয়ে নাগরিক সমাজ বিনিময় বন্ধ করে দিচ্ছে।
আন্তঃপ্রণালীর গতিশীলতা মোকাবিলা করার পাশাপাশি লাই চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতো কর্তৃত্ববাদী দেশগুলো নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করেছে সে সম্পর্কে সতর্ক করেন।
লাই বলেন, “তাইওয়ানকে অবশ্যই শান্তির সময়ও বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে হবে এবং আত্মরক্ষার দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করতে হবে।”
এর বিরুদ্ধে চীন ক্রমাগত সামরিক চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে লাই এ বক্তব্য দেন। গত মে মাসে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চীন তাইওয়ানের চারপাশে দুটি সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং দ্বীপটির নিকটবর্তী জল ও আকাশসীমায় সামরিক বিমান ও নৌ বাহিনীর জাহাজ মোতায়েনের সংখ্যা বাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃত্ববাদী দেশগুলো বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের জন্য যে সম্মিলিত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তা তুলে ধরে লাই তাইওয়ান ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে “নতুন আখ্যান” তৈরির চেষ্টা করছেন।
সমমনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক গভীর করার জন্য তাইওয়ানের প্রচেষ্টা তুলে ধরতে লাই বলেন, তাইওয়ান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিনিয়োগ করেছে।
লাই বলেন, উপরন্তু তাইওয়ান বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের সাথে “গণতান্ত্রিক সরবরাহ” জোরদার করতে সেমিকন্ডাক্টর এবং এআই খাতে সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।