যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে তাদের বাহিনী ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে সুনির্দিষ্ট ভাবে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। এ দিকে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই অভিযানে হুথি নিয়ন্ত্রিত উপকূলীয় অঞ্চলগুলি ছাড়াও ইয়েমেনের রাজধানী সানায়ও আঘাত হানা হয়।
হুথির নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজগুলি এই আক্রমণ করে। তা ছাড়া যে সব স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ ও মওজুদ রাখা হয় সেগুলিকেও এই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, যে সব স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই বার আক্রমণ চালানো হয় সেগুলোকে এর আগে হুথির তত্পরতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, “যেমন লোহিত সাগর ও এডেন উপসগারে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ও বানিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ চালানো হয়েছিল”।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে যে এই অভিযানগুলি, “ ইরান সমর্থিত হুথিদের আঞ্চলিক অংশীদারদের এবং ওই অঞ্চলে সামরিক ও বানিজ্যিক জলযানগুলিকে হুমকির সম্মুখীন করার প্রচেষ্টাকে খর্ব করার জন্য সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রচেষ্টার অংশ”।
হুথির একজন মুখপাত্র এই অভিযানকে, “ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের নির্লজ্জ লংঘন ও ইসরায়েলের প্রতি নির্লজ্জ সমর্থন” বলে অভিহিত করে।
হুথিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে এবং লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে জলযানগুলি উপরে েএক বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এসেছে।
হুথিরা বলছে যে ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ চলাকালে তাদের এই অভিযান ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ।
যুক্তরাষ্ট্র হামাস ও হুথিদের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে।