অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তুরস্ক থেকে স্বদেশে ফিরে গেলেন হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী


লোকজন তাদের জিনিষপত্র নিয়ে কাসাব সীমান্ত দিয়ে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করছেন। ২৭ ডিসেম্বর,২০২৪।
লোকজন তাদের জিনিষপত্র নিয়ে কাসাব সীমান্ত দিয়ে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করছেন। ২৭ ডিসেম্বর,২০২৪।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার জানান যে এই মাসে আরও আগে সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর প্রায় ৩১,০০০ সিরীয় স্বদেশে ফিরে গেছেন।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আসাদের পতনের পর এমন আশা দেখা দিয়েছে যে তুরস্ক এবং অন্যত্র সিরিয়ার যে সব শরণার্থী আছেন তাঁরা হয়ত স্বদেশে ফিরে যেতে পারবেন।

সিরিয়ার শরার্থীরা এমন এক সময়ে ফিরছেন যখন তুরস্ক বলছে তারা সিরিয়ায় বিদ্যূত্ সরবরাহের ব্যাপারে এবং সেখানকার জ্বালানি শক্তির অবকাঠামো বৃদ্ধির দিকে নজর দিচেছ। তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।

অন্যান্য স্থান থেকেও সিরিয়ায় সাহায্য আসছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফপিকে বলেন, ইউরেপের অর্থায়নে প্রায় ৫০টন চিকিত্সা সামগ্রী তুরস্কে বিমানে করে পাঠানো হয়েছে যেগুলি দুবাই হয়ে ৩১ ডিসেম্বর সিরিয়ায় পৌঁছাবে ।

লক্ষ্য হচ্ছে আসাদের অধীনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া স্বাস্থ্য পরিষোকে সহযোগিতা প্রদান করা।

ইতোমধ্যেই ইউক্রেন তাদের প্রথম দফার খাদ্য সাহায্য সিরিয়ায় পাঠিয়েছে বলে শুক্রবার জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। তিনি বলেন ৫০০ টন ময়দা এখন সিরিয়ার পথে রয়েছে।

এ দিকে শুক্রবার ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক সিরিয়ার ভবিষ্যত্ নিয়ে “ধ্বংসাত্মক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। তিনি বেইজিং সফরের সময়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এ কথা লেখেন।

শুক্রবার প্রকাশিত পিপলস ডেইলি সংবাদ পত্রে চীনা ভাষায় আব্বাস আরাঘচি লেখেন ইরান,“মনে করে কোন রকম ধ্বংসাত্মক হস্তক্ষেপ বা বিদেশের আরোপিত কোন কিছু ছাড়াই সিরিয়ার ভবিষ্যত্ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র দায়িত্ব হচেছ জনগণের”।

চীন ও ইরান উভয়ই বর্তমানে ক্ষমতাচ্যূত আসাদের সমর্থক ছিল।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেয়া ।

XS
SM
MD
LG