সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা সানা।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানের মূল অভিমুখ ও লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের তারতুস প্রদেশ; এবং সেখানে মিলিশিয়ার কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ১৪ জনকে আসাদপন্থী যোদ্ধারা হত্যার একদিন পর এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিল এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীই।
সিরিয়ার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তাবাহী অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, “অতর্কিত হামলায়” আরও ১০ জন আহত হয়েছে। সিরিয়ার নিরাপত্তাকে খর্ব করছে যারা তাদের দমন করতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, আসাদ সরকারের সাবেক এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা হলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের উপর হামলা চালানো হয়। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুখ্যাত সায়েদনায়া কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নির্দেশ জারি করেছিলেন তিনি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি বৃহস্পতিবার বলেছেন, গত তিন সপ্তাহে ৫০ হাজারের বেশি শরণার্থী সিরিয়াতে ফিরে এসেছে এবং প্রত্যাবর্তনের হার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর চলতি মাসের শুরুতে বলেছিল, এই বছরের প্রথম আট মাসে ৩৪ হাজার সিরীয় শরণার্থীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি তারা যাচাই করেছে।
১৩ বছরের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষকে এই দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। অন্য দিকে, সিরিয়ার মধ্যেই উদ্বাস্তু আরও ৭০ লক্ষ মানুষ।
শরণার্থীদের অর্ধেকের বেশি তুরস্কে চলে গেছে এবং বাকিদের অধিকাংশই পালিয়েছে লেবানন, জর্ডান, ইরাক ও মিশরে।
চলতি মাসের শুরুতে ইউএনএইচসিআর এক প্রতিবেদনে বলেছে, শরণার্থীদের অনেকেই সিরিয়ায় ফিরে আসতে আগ্রহী; অনেকে আবার এখন অপেক্ষা করে সে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের পথ বেছে নিয়েছে।