বুধবার ইয়েমেন ভিত্তিক হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী জানায়, তারা ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে তেল আবিব এলাকায় একটি ব্যালস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই হামলার ফলে বিমান হামলার সতর্ক সাইরেন বাজলেও এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢোকার আগে তা প্রতিহত করা হয়।
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে তাদের কথায়, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দুই দিনের মধ্যে হুথিদের এটি দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
.ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পাশাপাশি হুথিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের জাহাজগুলোর উপর হামলা চালিয়ে জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতেও বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হুথিদের প্রতি তাদের বক্তব্যে আরও স্পষ্টভাষী হয়ে উঠেছেন এবং ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তদন্তের ফলাফল অনুসারে, আগস্টে গাজায় আটক ছয়জন জিম্মির মৃত্যুর জন্য অসবধানতাবশত ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতিই দায়ী ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভিযানের সময় ইসরায়েলি আমেরিকান হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনসহ ছয় জন জিম্মিকে হামাস জঙ্গিরা ধরে নিয়ে যায়। প্রায় ৩৩০ দিন বন্দি থাকার পর হামাসের হাতে তারা নিহত হন।
সামরিক বাহিনীর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, “ এই অঞ্চলে স্থল কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালানো হয়েছিল এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। এই কার্যক্রম ৬ জন জিম্মিকে হত্যা করার সন্ত্রাসীদের সিদ্ধান্তের ওপর পরিস্থিতিগত প্রভাব ফেলেছিল।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর আগস্টের শেষের দিকে একটি সুড়ঙ্গে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী তৎপরতা চালায় কারণ সেখানে জিম্মিদের থাকার ভালো সম্ভাবনা ছিল ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দ্য হোস্টেজেস এন্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম বলে, “ আজ রাতে প্রকাশিত তদন্তে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, কেবল একটি চুক্তির মাধ্যমেই সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
.
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।