জাপান বুধবার জানিয়েছে যে বেইজিংয়ে চীন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার ফলশ্রুতিতে আগামী বছর জাপানে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরের পথ সুগম হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব দুই দেশ নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা শুরুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে।
তবে এসব আলোচনা ও বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক ও ওয়ার্কিং লাঞ্চ শেষে সংবাদদাতাদের জানান, উভয় পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছে, যার মধ্যে ২০২৫ সালের সফরের সময়ে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত।
অক্টোবরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ইওয়াইয়ার প্রথম চীন সফর। রাজধানী বেইজিংয়ে এক দিনের এই সফরে জাপানের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে নানা জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ইওয়াইয়া।
এর আগে দুই দেশের নেতাদের পারস্পরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হয় এমন কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরিতে কাজ করার বিষয়ে তাঁরা সহমত হন।
এই দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের বাণিজ্যিক অংশীদার। তাদের মধ্যে অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের দাবির বিষয়ে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী। এই জটিল সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে ভিন্নমত। তা ছাড়া যুদ্ধকালীন সংবেদনশীল আচরণের অতীত ইতিহাস রয়েছে।
আঞ্চলিক উদ্বেগের মধ্যে ওয়াং ও ইওয়াইয়া উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে ওয়াং জানান, এই দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ নয়।
বৈঠকের শুরুতে ওয়াং বলেন, “যদি চীন-জাপান সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকে, তাহলে সার্বিকভাবে এশিয়া আরও বেশি স্থিতিশীল থাকবে”।