ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া রকেট তেল আবিবের একটি এলাকায় আঘাত হানলে জানালার ভেঙে পড়া কাঁচের আঘাতে ১৬ ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী আরও জানায়, ভোর ৪টার ঠিক আগে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানার আগে বিমান হামলার সতর্কতা সূচক সাইরেন বেজে উঠলে বাসিন্দারা দৌড়ে আশ্রয়স্থলে যেতে শুরু করে। এ সময় অপর ১৪ ব্যক্তি সামান্য আঘাত পান।
পরবর্তীতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী হুতি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, তারা একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশ্যে হাইপারসনিক ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। তবে বিবৃতিতে লক্ষ্যবস্তুর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
দুই দিনেরও কম সময় আগে ইসরায়েলের উপর্যুপরি বিমানহামলায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাজধানী সানা ও বন্দর নগরী হোদেইদায় অন্তত নয়জন নিহত হন। এর আগে হুতিদের দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি স্কুল ভবনে আঘাত হানলে সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই দুই শহরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হুতিরা একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি জানায়। ওই লক্ষ্যবস্তুর নাম উল্লেখ করেনি হুতিরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ইরান-সমর্থিত হুতিরা গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলাকালীন দুই শ’রও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হুতিরা একইসঙ্গে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে নৌপরিবহন বিঘ্নিত করতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা এ ধরনের হামলা বন্ধ করবে না।
বৃহস্পতিবারের ইসরায়েলি হামলায় লোহিত সাগরে হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলোর “উল্লেখযোগ্য ক্ষতি” হয়েছে, যা “শিগগির উল্লেখযোগ্য আকারে ওই বন্দরগুলোর সক্ষমতা কমাবে” বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ। ইয়েমেনে এক দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে হোদেইদা বন্দর দেশের বাইরে থেকে খাদ্য আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলছেন, উভয় পক্ষের হামলায় এই অঞ্চলের সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার হুমকি সৃষ্টি হয়েছে এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ খর্ব করছে।